নদীর ওপর একই সঙ্গে সড়ক ও রেল সেতু হিসেবে বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘ সেতু পদ্মাসেতু। নদীর তলদেশের স্থাপন করা ভিত্তির হিসেবে এখন পর্যন্ত এটি বিশ্বে প্রথম। সর্বোচ্চ ১২২ মিটার গভীরে পর্যন্ত বসানো হয়েছে এই সেতুর পাইল। পদ্মা সেতুতে ১০ হাজার টনের বিয়ারিং ব্যবহার করা হয়েছে যাতে এই সেতু টিকে থাকবে রিখটার স্কেলে ৯ মাত্রার ভূমিকম্পেও। সেতু তৈরিতে করা হয়েছে ব্যয়বহুল নদীশাসন। এসব বৈশিষ্ট্যের কারণে এই সেতু বিশ্বজুড়ে প্রকৌশলবিদ্যার পাঠ্যবইয়ে ঠাঁই করে নেবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
বঙ্গীয় বদ্বীপে ভয়াবহ মাত্রার ভূমিকম্পের ইতিহাস রয়েছে। তাই ভূমিকম্প থেকে পদ্মা সেতুকে রক্ষায় ব্যবহার করা হয়েছে ফ্রিকশন পেন্ডুলাম বিয়ারিং। এই বিয়ারিংয়ের সক্ষমতা ১০ হাজার টন। এখন পর্যন্ত বিশ্বের কোনো সেতুতে এই সক্ষমতার বিয়ারিং লাগানো হয়নি। রিখটার স্কেলে ৯ মাত্রার ভূমিকম্পেও টিকে থাকতে পারবে পদ্মাসেতু।
বর্তমানে এক্সপ্রেসওয়েকেও সেতু হিসেবে গণ্য করা হয়। সে কারণেই বিশ্বের দীর্ঘতম সেতুর তালিকা করা এখন অনেকটা কঠিন। তবে ইন্দো-গাঙ্গেয় সমভূমিতে নির্মিত দ্বিতীয় বৃহত্তম পদ্মা সেতু। দীর্ঘতম ভারতের আসামের ভূপেন হাজারিকা সেতু। ভারতের বিহারের ৫.৭৫ কিলোমিটারের মহাত্মা গান্ধী সেতুকে সরিয়ে গঙ্গা-পদ্মার ওপর নির্মিত দীর্ঘতম সেতু হচ্ছে পদ্মাসেতু।